চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য
সরকার বড়
ধরনের সুযোগ
সৃষ্টি করেছে। এখন
থেকে চাকরির
জন্য নিজ
হাতে লিখিত
আবেদনের প্রয়োজন
নেই।
আবেদনের সঙ্গে
অসংখ্য সনদ
দেয়ারও বিধান
বাতিল করা
হয়েছে।
পোস্টাল অর্ডার,
পে-অর্ডার
বা ব্যাংক
ড্রাফট সংযুক্ত
করার বিধান
রহিত করার
বিষয়টিও সক্রিয়
বিবেচনায় রয়েছে। আবেদনের
সঙ্গে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র আছে
কি না
বা আবেদন
সঠিকভাবে লেখা
হয়েছে কী
না-তা
পরীক্ষা নিরীক্ষার
নামে বছরের
পর বছর
আবেদন ফেলে
রাখার সংস্কৃতি
রয়েছে।
আবেদনের সঙ্গে
জন্মসনদ, নাগরিক
সনদ, শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদ,
অভিজ্ঞতার সনদ, চারিত্রিক সনদসহ অনেক
ধরনের কাগজপত্র
সংযুক্ত করার
বিধান ছিল। এটা
আবেদনকারীদের জন্য অতিরিক্ত বিড়ম্বনা।
সে চাকরি
পাবে কি
না-তার
নিশ্চয়তা নেই-অথচ তার
আগেই আবেদন
করতে গিয়ে
তাকে নানা
ঘাটে পয়সা
গুনতে হয়,
না হয়
হয়রানির মুখে
পড়তে হয়। এসব
থেকে চাকরি
প্রত্যাশীদের মুক্তি দিতেই সরকার নতুন
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী শুধুমাত্র
নির্ধারিত ফরমে চাকরি প্রত্যাশীকে আবেদন
করতে হবে। মৌখিক
পরীক্ষার সময়ে
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা শর্তের সপক্ষে
প্রমাণপত্র হাজির করতে হবে।
তবে আবেদন ফরমে
প্রার্থীকে অঙ্গীকার করতে হবে যে,
তার দেয়া
তথ্য সঠিক। ভুল
তথ্য দিলে
প্রার্থী আইনানুগ
শাস্তি গ্রহণে
বাধ্য থাকবেন। জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. কামাল
আব্দুল নাসের
চৌধুরী জানান,
ইতোমধ্যে সকল
মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর-অধিদপ্তরসহ
সকল প্রতিষ্ঠানকে
সরকারের নির্দেশনা
জানিয়ে দেয়া
হয়েছে।
নির্ধারিত ফরমের ছকও পাঠিয়ে দেয়া
হয়েছে।
অন-লাইন
বা ফরম
ডাউনলোড করে
খামেও আবেদন
করা যাবে। এতে
প্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে এবং চাকরি
দেয়ার প্রক্রিয়ায়
দীর্ঘসূত্রতা দূর হবে। জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এক পাতার
আবেদনে সংযুক্ত
করতে হবে
শুধুমাত্র ৫/৫ সেন্টিমিটার সাইজের
সদ্যতোলা দুই
কপি ছবি। পদের
নাম, বিজ্ঞপ্তির
তারিখ, প্রার্থীর
নাম, জাতীয়
পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, জন্ম
জেলা, জন্ম
নিবন্ধন নম্বর,
প্রার্থীর বয়স, পিতা ও মাতার
নাম, ঠিকানা,
বর্তমান ও
স্থায়ী, জাতীয়তা,
ধর্ম, জেন্ডার,
পেশা শিক্ষাগত
যোগ্যতা, বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়, পাসের
সাল, গ্রেড/
শ্রেণি বা
বিভাগ, চালান/ব্যাংক ড্রাফট
নম্বর, বিভাগীয়
প্রার্থী কী
না, মোবাইল
বা টেলিফোন
নম্বর বা
ই-মেইল
যদি থাকে। পরিশেষে
প্রার্থীর স্বাক্ষর। এসব তথ্যের
সপক্ষে কোন
সনদ সত্যায়িত
করে সংযুক্ত
করার দরকার
নেই।
শুধুমাত্র মৌখিক বা চূড়ান্ত নিয়োগ
পরীক্ষার সময়ে
তা হাজির
করতে হবে।
ধন্যবাদ।